وعن عبدالله بن عمرو (رضي الله عنه) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يدخل الجنه منان ولا عاق ولا مدمن خمر (رواه النسائي والدارمي)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন উপকার করে খোঁটা দানকারী, পিতামাতার অবাধ্য ও সর্বদা মদ্য পানকারী বেহেশতে প্রবেশ করবে না। (নাসার ও দারেমী)
::সংশ্লিষ্ট আলোচনা ::
قوله لا يدخل الجنة منان
এর ব্যাখ্যা : আলোচ্যাংশের অর্থ হলো, উপকার করে খোঁটা দানকারী বেহেশতে প্রবেশ করবে না। কোনো ব্যাক্তি কারো উপকার করলে এর পর কথায় বা কাজে মনোমালিন্য সৃষ্টি হওয়ার পর যদি সেই উপকারের খোঁটা সর্বদা দিতে থাকে, তাহলে এ উপকারের ফলতো হবেই না, বরং হাদীসের আলোকে দেখা যায়, সে ব্যক্তি খোঁটার বদৌলতে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
قوله ولا عاق ::
এর ব্যাখ্যা : عاق শব্দের অর্থ হলো -'নাফারমান' । কেউ যদি পিতামাতার সাতে নাফারমানি করে, সদাচারের পরিবর্তে অসৌজন্যমূলক আচারণ করে, সে ব্যাক্তি নাফারমান। আর এ নাফারমান ব্যক্তি ও জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
قوله ولا مدمن خمر :
এর ব্যাখ্যা : অর্থাৎ সর্বদা মদ পানকারী বেহেশতে প্রবেশ করিবে না। মদ পান করা ইসলামে গর্হিত একটি কাজ। এটা যদি হালাল মনে করে পান বা স্বাভাবিকভাবে পান করে, তাহলে সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
দু-হাদীসের দ্বন্দ্বের অবসান। : উল্লেখিত হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, খোঁটা দানকারী, পিতামাতার অবাধ্য ব্যক্তি এবং মদ্য পানকারী এ তিন ব্যক্তি উক্ত অপরাধের কারণে বেহেশতে প্রবেশ করবে না। অথচ কিতাবুল ঈমানে উল্লেখিত '' من قال لا إله إلا الله فدخل الجنة ''
এ হাদীসের আলোকে দেখা যাচ্ছে যে, শুধু কালিমা উচ্চারণকারীই জান্নাতে প্রবেশ করবে।
বহ্যত উক্ত হাদীসদ্বয়ের মধ্যে বিরোধ পরিলক্ষিত হয়। এর সমাধানকল্পে মুহাদ্দিসীনে কেরম বলেন-
১. এসব ব্যক্তি নেককার লোকেদের সাথে বেহেশতে প্রবেশ করবে না।
২. তাদের স্বীয় পাপ পরিমাণ শাস্তি ভোগ করার পর তারা বেহেশতে প্রবেশ করবে।
৩. যে ব্যক্তি উল্লিখিত কাজগুলো বৈধ ধারণা করে করতে থাকে। প্রথম হাদিসে এ ধরণের ব্যক্তিদের কথা বলা হয়েছে যে, তারা বেহেশতে প্রবেশ করবে না।
এ ব্যাখ্যা পর উভয় হাদীসের মধ্যে আর কোনো বিরোধ থেকে না।
www.iefweb.com
Islamic Exploration Foundation - IEF
Tags : Heaven, Hell, Jahannam, Jannat, Islamic Article